ভোটার স্লিপ দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

এখন প্রযুক্তির যুগ তাই এখন ঘরে বসে অনেক কাজ করা সম্ভব হয়ে পড়েছে। যেমন: অনলাইনে চিকিৎসা, ভোটার হওয়া, পাসপোর্ট তৈরি ইত্যাদি।  আপনিও যদি অনলাইনে ভোটার হয়ে থাকেন এবং আপনার NID অনলাইন কপি ডাউনলোড করে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করার কথা ভাবছেন তাহলে আজকের পোস্টি আপনার জন্য।  এই পোষ্টে আমরা জানব কিভাবে হাতে থাকা মোবাই বা কম্পিউটার দিয়ে আপনার NID কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করবেন। তো চলুন শুরু করি।

NID বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোডের নিয়ম

আপনার NID বা ভোটার আইডি কার্ডের অনলাই কপি ডাউনলোড করতে প্রথমে যেকোন ব্রাউজারের এড্রেস বারে গিয়ে nidbd অথবা services nidw gov bd লিখে সার্চ করুন। তারপর গুগলের ফাস্ট অয়েবসাইটে প্রবশে করুন। সেখানে আপনি এরকম একটি দেখতে পাবেন। 

 

আপনার যদি আগে থেকে একাউন্ট করা থাকে তহলে লগিং করে নিন। আর যদি একাউন্ট না থাকে তাহলে ‘রেজিস্টেশন করুন’ অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার NID বা ফর্ম নম্বর জন্ম তারিখ, মাস, সাল ও নিম্নে ক্যাপসা পূরণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। এই ধাপে আপনার বর্তমান ঠিকানা যেমন: বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও NID/ NID ফর্ম বা জন্ম সনদ অনুযায়ী স্থায়ী ঠিকানা যেমন: বিভাগ, জেলা ও উপজেলা দিয়ে ‘পরবর্তী অপশনে’ ক্লিক করুন। 

৩য় ধাপঃ আপনাকে একটি ফোন নাম্বার দেখাবে যেটি আপনি ফর্মপূরণের সময় দিয়ে ছিলেন। যদি নাম্বারটি সঠিক থাকে তাহলে ‘বার্তা পাঠান’ অপশনে ক্লিক করুন। আর যদি নাম্বারটি ঠিক না থাকে বা হাতের কাছে না পাওয়া যায় তাহলে ‘মোবাইল পরিবর্তণ’ বাটনে ক্লিক করে আপনার নাম্বারটি পরিবর্তণ করে নিন।  নাম্বার পরিবর্তণ শেষে ‘বার্তা পাঠান’ অপশনে ক্লিক করলে আপনার সিমে একটি কোড যাবে। কোডটি সংগ্রহ করে সাইটে বসিয়ে ‘বহাল’ অপশনে ক্লিক করুন। 

এবার পেইজটিকে এভাবে রেখে গুগল প্লেস্টোরে চলে আসুন। তারপর এড্রেস বারে NID WALLET লিখে প্রথম অ্যাপটি ইনস্টল করে নিন। 

ইনস্টল করা শেষ হলে আবারও nidbd অয়েবসাইটে ফিরে আসুন। তারপর ‘Tap to open NID WALLET’ অপশনে ক্লিক করুন।

  • তাহলে আপনার ইন্সটল করা অ্যাপটি ওপেন হয়ে যাবে। তারপর ‘Start face scan’ অপশনে ক্লিক করুন। 

তাহলে আপনার ক্যামরাটি চালু হয়ে যাবে। এবার চিত্রে দেখানো ডেমো অনুযায় ৩টি স্টেপে আপনার চেহারা নাড়াছাড়া করে ছবি তোলা সম্পন্ন করুন। তারপর ওকে বাটনে ক্লিক করলে আপনার সামনে একটা ইন্টারপেজ ওপেন হবে। যেখানে আপনার ডিটেলস গুলো দেখানো হবে।

এবার সব গুলো তথ্য দেখে স্ক্রোল করে নিচে গেলে ডাউনলোড অপশন দেখতে পাবেন সেটাতে ক্লিক করলে আপনার কাঙ্খিত NID বা ভোটার আইডি কার্ডটি আপনার ফোনে ডাউনলোড হয়ে যাবে।

অনলাইন কপি কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যাব?

  • সরকারি বা বেসরকারি বিভিন্ন কাজে

  • অনলাইন KYC ভেরিফিকেশন

  • পাসপোর্ট তৈরি বা রিনিউ

  • ভূমিকর পরিশোধ

  • ব্যবসা-বাণিজ্য

  • জমি ক্রয় বিক্রয়

  • আর্থিক লেনদেন

  • বিবাহ বা তালাক নামা রেজিস্টেশন ইত্যাদি। নানা কাজে আপনি এই NID কার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন।

KYC ভেরিফিকেশন কি?

KYC ভেরিফিকেশন হচ্ছে ব্যক্তি সনাক্তকরণ। বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম বা লেনদেন করা হয়। যার জন্য KYC ভেরিফিকেশন খুবই জরুরি। কারণ KYC ভেরিফিকেশন দিয়ে সঠিক ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়। যেটি মূলত NID, Paasport ও Driving licence দিয়ে করা হয়। অর্থাৎ বিকাশ, রকেট, নগদ, পেওনিয়ার, পেপাল,  ফাইবার, আপওয়ার্কসহ বিভিন্ন প্লাটফর্ম এ ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইনসেন্স দিয়ে আপনার নাম, ঠিকানা ও অবস্থান সনাক্তকরণের মাধ্যকে KYC ভেরিফিকেশন বলা হয়।

ভূমিকর পরিশোধে ভোটার আইডি

আপনি যদি একজন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন এবং আপনার নিজ বা পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকারী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার সেই সম্পত্তির ওপর সরকারকে প্রতি বছর একটা নির্দিষ্ট পরিমানে কর বা খাজনা পরিশোধ পদ্ধতিকে ভূমিকর বলা হয়।  আপনি যদি অনলাইনে ভূমিকর পরিশোধ করতে চান তাহলে অব্যশই আপনার একটি বৈধ NID বা ভোটার কার্ড থাকা চাই। তাহলে আপনি ভূমিউন্নয়ণকর পরিষদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে একাউন্ট করে মোবাইল বা ইন্টারনেটের সাহায্যে ভূমিকর পরিশোধ করতে পারবেন। 

ব্যবসা-বাণিজ্যে NID 

বৈধ ব্যবসা বাণিজ্য বা এজেন্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় NID বা ভোটার আইডিকার্ড প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়াও ব্যবসা রেজিস্টেশন বা ট্রেডলাইসেন্স তৈরিতে ভোটার আইডি কার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালান করে। 

আর্থিক লেনদেন

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজন হতে পারে। যেমন ধরুণ: ঋণ বা লোন নেওয়া, টাকা সঞ্চায় বা উত্তোলন ইত্যাদি ক্ষেত্রে NID দিয়ে আপনি যে দেশের একজন বৈধ নাগরিক এবং সেবা নিচ্ছেন তার প্রমাণ হিসেবে NID প্রয়োজন হতে পারে। 

বিবাহ বা তালাক

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে বিবাহ বা তালাকনামা রেলস্টেশন করতে ভোটার আইডি কার্ড বা এন আই ডি প্রয়োজন হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে হয়ে থাকেন এবং কোন কারণবশত এখন পর্যন্ত এন আইডি করতে না পারেন। তাহলে আপনার জন্ম সনদ দিয়েও বিবাহ বা তালাকনামা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। 

পাসপোর্ট তৈরি বা রিনিউ

আপনার বয়স যদি ২১ বছরে ঊর্ধ্বে হয়ে থাকে এবং আপনি যদি একটি বৈধ পাসপোর্ট তৈরি বা রিনিউ করতে চান তাহলে অবশ্য আপনার এন একটি বৈধ এন আই ডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে। তবে আপনি যদি নাবালক হয়ে থাকেন। তাহলে একুশ বছর পর্যন্ত আপনি জন্ম সনদ দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি বা রিনিউ করতে পারবেন।

সরকারি বা বেসরকারি বিভিন্ন কাজে NID

সরকারি বা বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পার্টনারশিপ অথবা চাকরির ক্ষেত্রে এনআইডি কার্ড অত্যন্ত জরুরী। এছাড়াও পঙ্গু ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা বা মুক্তিযুদ্ধ ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে এন আই ডি কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এক নজরে আজকের পোস্ট

  • NID card

  •  NID ডাউনলোডের নিয়ম

  • ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডের নিয়ম

  • NID অনলাইন কপি ডাউনলোডের নিয়ম

  • ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২৩

  • ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড

  • পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *