কিভাবে হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন মাত্র ৫ মিনিটে। বর্তমান সময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বা NID কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। নিজেদের ভুলে বা কোন কারণবশত যদি আমাদের ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে যায়। তাহলে আমরা খুব বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ি। আজকের পোস্টে হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম তুলে ধরা হলো। একই সাথে ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে কি করবেন সেটিও তুলে ধরা হবে আজকের পোস্টে। তাহলে চলুন জেনে নি কিভাবে হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন।
আলোচনার বিষয়
ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে যা করবেন
ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে দুটি পদ্ধতিতে সেটি উত্তোলন বা ডাউনলোড করতে পারবেন। এদের মধ্যে একটি লং প্রসেস এবং অন্যটি শর্ট প্রসেস। বিশেষ করে কারো যদি লেমেন্টিং ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে যায়। তাহলে সবার প্রথমে যেটি করতে হবে। তাহলো, নিকটস্থ থানায় ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেছে এই মর্মে একটি জিডি দাখিল করতে হবে।
আরোও পড়ুন: ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন
কেনান অনেক অসাধু ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের হাতে যদি আপনার NID কার্ড চলে যায়। তারা সেটি ব্যবহার করে অবৈধ কাজ করতে পারে। যার দায়ভার আপনাকে বহন করতে হবে। তাই জিডি করলে আপনি এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন।
হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন যেভাবে
হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা উত্তোলন করতে সবার প্রথমে ফোনে থাকা যে কোন একটি ব্রাউজার ওপেন করুন তারপর সার্চবারে Services.nidw.gov.bd লিখে সার্চ করুন। তারপর সার্চ রেজাল্টে আসা প্রথম সাইটে প্রবেশ করুন। তহলে এরকম একটা পেইজ দেখতে পাবেন।
যদি ইতি মধ্যে একাউন্ট করা থাকে তাহলে ‘লগইন’ করুন। আর যদি একাউন্ট করা না থাকে তাহলে ‘রেজিস্ট্রেশন করুন’ বাটনে ক্লিক করুন। রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে নতুন একটি ফর্ম ওপেন হবে। যেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো দিতে হবে। যেমন:
- জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর
- জন্মতারিখ
- মাস
- বছর
জাতীয় পত্র অনুযায়ী সবগুলো তথ্য পূরণ করার পর। নিচের দিকে স্ক্রোল করলে একটি ক্যাপচা দেখতে পাবেন সেটি সঠিকভাবে পূরণ করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করুন।
হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ধাপ দুই
সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে আরও একটি page ওপেন হবে যেখানে আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে। আপনি অবশ্যই আপনার বর্তমান অস্থায়ী ঠিকানা জেনে থাকবেন। তারপরও যদি কোন প্রবলেম হয় তাহলে জন্ম নিবন্ধনের সাহায্য নিতে পারেন। জন্ম নিবন্ধন দেখে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন করার পর আবারো ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন।
হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ধাপ তিন
এ পর্যায়ে আপনাকে নাম্বার ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে। ডিফল্টভাবে যদি কোন নাম্বার দেওয়া থাকে আপনি চাইলে সেটি পরিবর্তন করে আপনার নিজের নাম্বারে বার্তা পাঠাতে পারেন এবং নাম্বার ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে পারেন।বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার নাম্বারে একটি যাচাই করুন কোড পাঠানো হবে। কোডটি সঠিকভাবে সাবমিট করার মাধ্যমে আপনার একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের পর আপনার সামনে নতুন একটি পেজ আসবে যেখানে Tap to open NID Wallet একটা অপশন দেখতে পাবেন
ট্যাপ টু ওপেন এনআইডি ওয়ালেট অপশনে ক্লিক করে এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করে নিন। এছাড়াও আপনি চাইলে NID Wallet অ্যাপটি মেনুয়ালি ও ইন্সটল করে নিতে পারেন। মেনুয়ালি ইন্সটল করতে গুগল প্লেস্টোর অ্যাপটি ওপেন করে সার্চবারে NID Wallet লিখে সার্চ করুন। তাহলে অ্যাপটি পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে NID Wallet ইন্সটল করে নিন।
আরোও পড়ুন: Services nidw gov bd সাইটে কি সেবা এবং কিভাবে পাবেন
অ্যাপটি সম্পূর্ণ ইনস্টল হওয়ার পর সেটা ওপেন করুন। অ্যাপটি ইন্সটল করার পর কিছু পারমিশন চাইলে সেগুলা Allow করে দিন। এ পর্যায়ে আপনাকে ফেস স্ক্যান করতে হবে। আপনি যদি ফেস স্ক্যান অপশন টি না পান। তাহলে আবারও ওয়েব সাইটে ফিরে আসুন এবং ট্যাপ টু এনআইডি ওয়ালেট অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে ফেস স্ক্যান অপশন পেয়ে যাবেন।
এখন স্ক্রিনে দেখানো কার্টুন মডেল অনুযায়ী আপনার মুখটাও এদিক ওদিক নাড়াছাড়া করে ফেস স্ক্যান সম্পন্ন করুন। ফেস স্ক্যান সম্পন্ন হলে ওয়েবসাইটে ফিরে আসুন। সেখানে আপনার ছবি সহ অন্যান্য তথ্য দেখতে পাবেন। এ পর্যায়ে আপনি চাইলে পাসওয়ার্ড সেট করে একাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে পারেন। এবং পরবর্তীতে সেই পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইটে লগইন করে কাজ করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে ‘এড়িয়ে যান’ অপশনে ক্লিক করে এড়িয়ে যেতে পারেন। যেকোন একটা অপশনে ক্লিক করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে আপনি আপনার NID সব তথ্য দেখতে পাবেন। এখন একটু নিচে স্ক্রোল করলে ‘ডাউনলোড’ বাটন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে আপনার NID কার্ডটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা শেষে যেকোন কম্পিউটার দোকান থেকে সেটি লেমিন্টিং করে খুব সহজে যেকোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের খুব বেশি উপকারে আসবে। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। আমরা সবসময় আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করি।