জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনে ইসির নির্দেশনা

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনে ইসির নির্দেশনা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনে ইসির নির্দেশনা প্রকাশ। জানবো এই নতুন আপডেট সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। সাম্প্রতিক জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনে ইসির নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। একজন দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিত এই আপডেটটি সম্পর্কে। যাতে করে নতুন NID তৈরি বা সংশোধনের সঠিক নির্দেশনা সম্পর্কে অবগত হতে পারি। তাহলে চলু জেনে নেওয়া যাক জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনে ইসির নির্দেশনা গুলো কি কি।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনে ইসির নির্দেশনা

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ইসি। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সংশোধনে অযৌক্তিক ডকুমেন্ট না চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি। একই সাথে দীর্ঘদিন ধরে সংশোধনের আবেদন অনিষ্পন্ন (Pending) রাখা থেকেও বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

গেল মঙ্গলবার ২৬ জুলাই ২০২৩ ইসির NID বিভাগের মহাপরিচালক মো: শহেদুন্নবী চৌধুরী এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেশের সব জেলা, উপজেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন। এতে NID সেবার উন্নতি ও নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে মাঠপর্যায়ে ১২টি নির্দেশনা প্রকাশ করেন।

নির্দেশনায় আরোও বলেন। NID সংশোধনের আবেদন গুলো অতিসত্বর যাচাই বাছাই করার মাধ্যমে অনুমোদন অথবা বাতিল ঘোষণা করতে হবে। প্রয়োজন হলে আবেদনের ডকুমেন্ট গুলোর সত্যতা যাচাইয়ের তদন্ত করতে হবে। এতে করে নাগরিকদের দুর্ভোগ কমে আসবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তার আওতাভুক্ত ক্যাটাগোরির আবেদন গুলো পরীক্ষা পূর্বক নিষ্পত্তি বা অনুমোদন করবেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট শিক্ষাসনদ বা জন্মসনদ থাকার পরেও অযৌক্তিক কোন কাগজপত্র দাবি করা থেবে বিরত থাকতে হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনে ইসির ১২টি নির্দেশনা

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনে ইসি যেই গুরুত্বপূর্ণ ১২টি নির্দেশনা প্রকাশ করেছেন সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

  • দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণ তার আওতাভুক্ত ক, খ ও গ ক্যাটাগোরির আবেদনসমূহ পরীক্ষান্তে নিজেই নিষ্পত্তি অর্থাৎ অনুমোদন বা বাতিল করতে পারবেন।
  • দেশের নাগরিকদের দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনে আবেদন অতিসত্বর নিষ্পত্তি করতে হবে।
  • দীর্ঘদিন ধরে সংশোধনের আবেদন অনিষ্পন্ন অর্থাৎ Pending রাখা হতে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি অর্থাৎ অনুমোদন বা বাতিল করতে হবে।
  • আবেদনকারীর যাথাযথ জন্ম সনদ ও শিক্ষা সনদ থাকা সত্ত্বেও অযৌক্তিক ডকুমেন্ট দাবি করা থেকে বিরত থাকা।
  • মাঠপর্যায়ে ক,খ ও গ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সপ্তাহে কম পক্ষে দুই দিন শুনানি গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। শুনানি প্রদানের তারিখ পরবর্তী ১০ (দশ) কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
  • ক্যাটাগরি বিভাজনের পর থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তার আওতাভুক্ত সংশোধনের আবেদন গুলো যথাযথ সময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে। যেমন: ক. ক্যাটাগরি ৭ কার্য দিবস, খ. ক্যাটাগরি ১৫ কার্য দিবস এবং ঘ. ক্যাটাগরি ৩০ কার্য দিবস।
  • যেসব নাগরিক অনলাইনে আবেদন করতে পারবে না। তাদের উপজেলা বা থানা নির্বাচনে অফিসে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগীতি করতে হবে।
  • আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন প্রাপ্ত কর্মকর্তারা তার আওতাধীন যে সব আবেদনসমূহ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সিন্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থ হবেন। অর্থাৎ অনুমোদন বা বাতিল। সে সব আবেদনসমূহ ও সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট গুলো যাচাইয়ের জন্য জাতীয় নির্বাচন অনুবিভাগ বরাবর প্রেরণ করবেন।
  • এছাড়াও NID নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে আবেদনের ক্যাটাগরি বিভাজন করার ক্ষেত্রে অঞ্চল ভিত্তিক কর্মকর্তাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন

আশা করি, আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনে ইসির নির্দেশনাসমূহ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *